সোমবার, ০২ Jun ২০২৫, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
হাইকোর্টের।ছবি-সংগৃহীত
অনলাইন রিপোর্ট: মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার প্রতিবেদন বুঝে পড়ার মতো করে স্পষ্ট অক্ষরে লেখার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের একটি টাইপ কপি ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছেন। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং সব সিভিল সার্জনকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারের খুরুশখুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোলতান আহমদ সিরাজীর দেয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অস্পষ্ট (পড়ার অযোগ্য) হওয়ায় বুধবার (২০ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ মামলার আসামি একই স্কুলের একই শ্রেণির ছাত্র মো. আরিফকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আজ আরিফের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দাস তপন কুমার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাইফুলের সঙ্গে একই শ্রেণির ছাত্র আরিফের কথা কাটাকাটির জেরে ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাইফুলের ওপর হামলা চালায় আরিফসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জন। আহত অবস্থায় তাকে কক্সবাজারে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি সাইফুল মারা যায়। ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থানায় মামলা হয়।
এ মামলায় কারাবন্দি আরিফ কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করলে গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। জামিন আবেদনের সঙ্গে সাইফুল ইসলামের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়, যা পড়ার অযোগ্য।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আরিফের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানিকালে ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসে। এরপর আদালত এ নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আরিফের জামিন দেন আদালত।
দৈনিকবডিনিউজ৩৬০/এসএম